কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণের সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর ফলে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই তহবিলের পুরো অর্থ বিতরণ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
ঋণ বিতরণে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় এ নিয়ে পাঁচ দফা বাড়ানো হলো সময়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ সোমবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে।
গত বছরের ১৩ এপ্রিল এ তহবিলের নীতিমালা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে ওই বছরের আগস্ট পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ঋণ দেয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পরে তা দুই মাস বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। পরে আরও দুই বার এক মাস করে দুই মাস সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
এ সময়েও কাঙ্ক্ষিত ঋণ বিতরণ না হওয়ায় সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ মার্চ নির্ধারণ করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সিএমএসএমই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মাত্র ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে।
প্যাকেজের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণোদনা প্যাকেজটির প্রথম পর্যায়ের (প্রথম বছর) বাস্তবায়নের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতে না পারায় সিএমএসএমই খাতে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনও সেবা প্রসার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মী বহাল রাখাসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় বিভিন্ন খাতে এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে সিএমএসএমই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল অন্যতম।
২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল এ সংক্রান্ত তহবিল বরাদ্দের জন্য নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রথমে প্রণোদনার ২০ হাজার কোটি টাকাই ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটের কথা ভেবে পরবর্তী সময় তহবিলের ১০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন করার ঘোষণা দেয়া হয়।